১০১২ মিনিট আগের আপডেট; দিন ১১:৩৬; শুক্রবার ; ২৮ মার্চ ২০২৪

সিনহা হত্যা: ৭ আসামির রিমান্ড নিয়ে গড়িমসি

অনলাইন ডেস্ক: ১৩ অগাস্ট ২০২০, ১৫:৫৩

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ড হওয়া সাত আসামির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েও শুরু হয়েছে গড়িমসি। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) থেকে রিমান্ড কার্যকরের কথা থাকলেও কারাগার থেকে ফিরে গেছে র‌্যাবের খালি গাড়িবহর।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দাবি, তদন্ত কর্মকর্তাই আসামিদের আরও পরে রিমান্ডে নিতে চান। এদিকে টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক জানিয়েছেন, চার বছর আগে সিনহা টেকনাফে বিজিবির অপারেশন অফিসার ছিলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ছিলেন সক্রিয়।

আগের দিন জানানো বার্তা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে হুইসেল বাজিয়ে রিমান্ডের জন্য সাত আসামিকে আনতে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢোকে র‌্যাবের গাড়ি। এরপর নথিপত্রের ফাইলসহ কারা কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় র‌্যাব কর্মকর্তাদের। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আগের মত হুইসেল বাজিয়ে বেরিয়ে যায় এলিট ফোর্স-টির গাড়ি বহর।

এরও আধ ঘণ্টা পর র‌্যাব জানায়, সিনহা রাশেদের বোনের দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের মামলার সাজান ৩ সাক্ষী এব‌ং পুলিশের চার সদস্যকে রিমান্ডে নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ জানান, এ সিদ্ধান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার।

তিনি বলেন, আপাতত কাউকেই রিমান্ডে নেয়া হয়নি, এখনেরটা এখন বলি, বিকালেরটা পরে জানা যাবে।

এদিকে ৩১ জুলাই কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনার মোটিভ বের করতে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে র‌্যাব। জানা গেছে, এরমধ্যে সিনহা রাশেদের বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টিও রয়েছে।

টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত টেকনাফ বিজিবির অপারেশনস অফিসার ছিলেন।

টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান বলেন, রোহিঙ্গার জন্য জরুরি সময়ে উনি ছিলেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত টেকনাফ বিজিবির অপারেশনস অফিসার ছিলেন।

শামলাপুরের ঘটনায় হওয়া ৪টি ফৌজদারি মামলা তদন্ত করছে র‌্যাব। এই ৭ আসামি ছাড়াও সিনহা রাশেদের বোনের করা হত্যা মামলার প্রধান ৩ আসামি ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং পুলিশের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দলাল রক্ষিতকে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেও এখনো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি র‌্যাব।