৪৪০ মিনিট আগের আপডেট; দিন ৬:৪৩; বৃহস্পতিবার ; ১৭ এপ্রিল ২০২৪

থানায় ফোন করে ফেঁসে গেলাম : যুবলীগ নেতা হেলাল

আমার কক্সবাজার রিপোর্ট ২৮ মে ২০২০, ০০:২৬

চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রাস্তার মাথার অদূরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় র‍্যাবের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক ছাত্রনেতা ও চকরিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন হেলালী সহ স্থানীয় আরও সাত জনের নামে। এ বিষয়ে হেলাল উদ্দিন তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্টাটাস দেন। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
 
“গত ২১, ০৫,২০২০ইং সন্ধা আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটের ফাঁসিয়াখালী নাজেম মেস্ত্রীর গ্যারেজের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারন জনতার সাথে ১টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংগঠিত হয়,তখন আমি বাড়িতেই ছিলাম। গুলির আওয়াজ শুনে আমিসহ আমার পরিবারের অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে আমাদের বাড়িতে ডুকার মুল রাস্তার ফটকে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করি। তখনও আমরা কেউ জানিনা আসলে ঘটনাটা কি, মুহু মুহু গুলির আওয়াজে আরকান সড়কে গাড়ি আর মানুষ ভরপুর পরিবেশ খারাপ দেখে আমি চকরিয়া থানার দক্ষ অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান স্যারকে ফোন করে আমার পরিচয় দিয়ে ওনাকে বলে ছিলাম ফাঁসিয়াখালীতে প্রচুর গুলাগুলি হচ্ছে। তখন সন্ধা ৭,৪৫ মিনিট,এর পরে মাননীয় এম পি মহোদযকে ফোন দিয়ে ওনাকে না পেয়ে ওনার পিএ সুজনকে ঘটনাটা অবহিত করি। সচেতন একজন নাগরিক হিসাবে যে কোন বিষয়ে থানা বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করা একজন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব । কিন্তুু ভাগ্যের কি নিমর্মতা শুধুমাত্র ফোন করার অপরাধে আমি হয়ে গেলাম দুটি মামলার আসামি! সাথে আমার সহযোদ্ধা দুই ভাতিজা ফাঁসিয়াখালী যুবলীগের সহ সভাপতি ইউছুপ, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক আরাফাত।
 
সম্মানিত এসপি মহোদয়, ও চকরিয়া থানার ওসি মহোদয় আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ দয়া করে ঘটনাটা সঠিক ভাবে তদন্ত করে যদি উপরোক্ত ঘটনায় আমাদের সম্পুক্ততা পান তাহলে দেশের নাগরিক হিঃ শাস্তি মাথা পেতে নেব। দয়াকরে আমাদের মিথ্যা এবং হযরানি মুলক মামলায় জড়িয়ে আমার রাজনৈতিক দল, ও পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করবেন না।
 
ফোন করে যে কোন বিষয়ে ইনফরমেশন দিলে যদি মামলার আসামি হতে হয় তাহলে অদুর ভবিষ্যৎ আর কেউ এই রকম কাজ করবেনা। উপরে আল্লাহ একজন আছে তিনি সবেই দেখেন যারা যারা আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলার ইন্ধন দিযেছেন একদিন তার বিচার আল্লাহই করবে। আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমার প্রিয় নেতৃবৃন্দসহ সকলের কাছে আমি দোয়া চাই,আমরা সম্পুর্ন নির্দোশ আল্লাহ অবশ্যই আমাদের রক্ষা করবে ইনশআল্লাহ।”
 
স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয় বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার পুর্বক আইনের আওতায় আনা হোক এবং নিরপরাধ কোন মানুষ কে যাতে হয়রানি করা না হয়।