৪১৯ মিনিট আগের আপডেট; দিন ৩:৪৮; শনিবার ; ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইউএনএইচসিআর মনে করে মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়

আমার কক্সবাজার ডেস্ক : ২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪০

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে রাখাইনের পরিস্থিতি এখনো অনুকূল নয়। তবে শরণার্থীদের সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বর্তমানে চলমান বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আলোচনায় তারা জড়িত নয়।

রবিবার (১৯ মার্চ) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দপ্তর থেকে প্রচারিত বিবৃতিতে এসব মত প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফর সম্পর্কে ইউএনএইচসিআর অবগত রয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এক দ্বিপক্ষীয় পাইলট প্রকল্পের আওতায় উভয় পক্ষের আলোচনা চলছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের মূল্যায়ন হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল নয়। একই সময়ে প্রতিটি শরণার্থীর একটি জ্ঞাত পছন্দের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার ও কোনো শরণার্থীকে যে প্রত্যাবাসনে বাধ্য করা উচিত নয়, সেটিও আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইউএনএইচসিআর মনে করে, প্রত্যাবাসনের অধিকার সংরক্ষণের প্রচেষ্টার সমর্থনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আলোচনা ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে।

সংস্থাটি বলছে, এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক শরণার্থী পরিস্থিতি অনুকূলে এলে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আশা পুনর্ব্যক্ত করেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে অংশ নেন সেজন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে তারা। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে সংস্থাটি।