আমার কক্সবাজার ডেস্ক ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৩২
সাগরের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে যে সকল কম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে, তাদের সাথে আলোচনা চলছে। যদি সম্ভব হয় তাহলে মাতারবাড়ি, মহেশখালী বা বাঁশখালীতে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবতা যাচাই করা হবে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান। লিখিত প্রশ্নে তিনি কক্সবাজার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সুবিধাজনক স্থানে সাগরের পানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের পরিকল্পনা আছে কি না, তা জানতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সাগরের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন ধারণা। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সমুদ্রের জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা ব্যয়সাপেক্ষে এবং তা বাণিজ্যিকভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিদ্যুক কেন্দ্র নির্মাণের খরচ কমে এলে বঙ্গোপসাগরের জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে নানামুখি পদক্ষেপ--
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে অধিক কর্মী পাঠানো ও বৈধভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠান অন্যতম। বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে আসছে। সরকার ইতোমধ্যে প্রণোদনার বিষয়টি ২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশে উন্নীত করেছে। সরকারের এ সব পদক্ষেপের ফলে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, বাংলাদেশ একটি উচ্চ রেমিটেন্স প্রাপ্ত দেশ। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারির পরও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাপ্ত রেমিটেন্স ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে প্রায় ১০ হাজার ৪৯৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রেমিট্যান্সের কোনো বিকল্প নেই এবং তা আনতে হবে বৈধ পথে। নতুন শ্রমবাজার অনুসদ্ধান, বিদ্যমান বাজার সংহত করা এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলো আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।