১০৪ মিনিট আগের আপডেট; রাত ১:৫৪; শুক্রবার ; ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় স্ত্রীর মামলায় স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার

মনসুর মহসিন ০৬ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৫

চকরিয়ায় পারিবারিক মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামি দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুর রহমান আজাদকে মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের ভাড়া বাসা থেকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 গ্রেফতারকৃত আজাদ উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মৃত ফরুখ আহমদের পুত্র ও  দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক। 
শফিকুর রহমান আজাদ ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন কাকারা ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের কন্যা রিয়াজুল জান্নাত মুক্তাকে। তাদের সংসারে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে ও ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে। 
আজাদের স্ত্রী মুক্তা বলেন, আমার বিয়ের পরে কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছিল। ২০১২ সালে হঠাৎ করে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ও খারাপ বন্ধুদের কু-প্ররোচনায় পড়ে টেকনাফ উপজেলার মারিশবনিয়া এলাকার আবদুস সালামের কন্যা শাকিলা আকতারের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। খবর নিয়ে আমি জানতে পারি সে কোন ধরনের বিয়ে-সাদী না করে অবৈধভাবে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায়। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে উক্ত এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ দরবার করে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। এর পর থেকে আজাদের সাথে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সে আমার ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আছুয়ার পাড়া এলাকার ওসমানের মেয়ে ময়না বেগমকে বিয়ে করে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। ওই ভাড়া বাসা থেকে আজাদ মাষ্টারকে গ্রেফতার করার সময় আজাদের কথিত স্ত্রী দাবী করা ময়না ঔ সময় পুলিশ দেখে আজাদের বৈধ স্ত্রী মুক্তাকে মারতে তেড়ে আসে। 
এ বিষয়ে স্থানীয় নুর মোহাম্মদ তারাকি জানান, মাষ্টার আজাদ ফাঁসিয়াখালী এলাকার ওসমানের মেয়ে ময়নাকে ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে করেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখনো কাবিননামা সম্পাদন হয়নি।
আজাদ মাষ্টারের বিভিন্ন অপকর্ম ও ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ ও ভরনপোষণ না দেওয়ার কারণে বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে ৬৬/২০২২ মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত একতরফা সুত্রে গত ২৪ আগস্ট রায় প্রদান করেন। উক্ত রায়ের ডিক্রি প্রচার হয় ৩০/০৮/২০২২ ইং তারিখে। মামলার রায়ে আসামি আজাদকে বাদীর দেনমোহর, ভরনপোষণ ও ছেলে মেয়েদের ভরন-পোষণসহ সর্বমোট ৫ লক্ষ ২০ টাকা সমান পাঁচ কিস্তিতে বাদী বরাবর পরিশোধ করতে বলা হয়।
আসামি কোন ধরনের টাকা পয়সা না দেওয়ায় বাদী উক্ত আদালতে আসামির বিরুদ্ধে লেভী ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করেন। আদালত উক্ত আবেদন মঞ্জুর করে আসামি শফিকুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে তিন মাসের সাজার রায় প্রচার করেন। 
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিবারিক আদালতের মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামি শফিকুর রহমান আজাদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।