১৩২ মিনিট আগের আপডেট; রাত ২:২২; শুক্রবার ; ২৯ মার্চ ২০২৪

মহেশখালীতে নির্মাণ হচ্ছে টেকসই সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ

রকিয়ত উল্লাহ, মহেশখালী ০৭ জুন ২০২১, ১৩:৩৫

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মাতারবাড়ি-ধলঘাটে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই ডিসেম্বরে শুরু হবে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটায় সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ (বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ) নির্মাণ কাজ। এছাড়াও কুতুবদিয়ার বেড়িবাঁধ ভাঙনের জরিপ শেষ হয়েছে। এই প্রস্তাবনা অচিরেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

মাতারবাড়ী-ধলঘাট বেড়িবাঁধ নির্মাণের বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা। 

পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়ন সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘এই ডিসেম্বরেই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে মাতারবাড়ী-ধলঘাটের মানুষের রক্ষা করা হবে।’ 

জানা যায়, মহেশখালীতে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ  বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। অনুমোদন হলেই ডিসেম্বরেই শুরু হবে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটায় সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ। কাজ শেষ শতভাগ সুরক্ষিত হবে মহেশখালীর এই দুই ইউনিয়ন। স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবী হলেও অচিরেই সেই স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে।

মাতারবাড়ির বাসিন্দা অহিদ বলেন, ‘যেকোন ঘুর্ণিঝড়ে আমরা দিশেহারা হয়ে যায়। এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়িসহ সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। তাই আমরা ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। সেটা আমাদের সরকারের কাছে প্রাণের দাবী।’

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইশতিয়াক নয়ন বলেন, ‘ মাতারবাড়ি ও   ধলঘাটায় ১৭.৭৫ কিলোমিটার সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৩হাজার ৯০০কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি এ প্রস্তাবনা অচিরেই অনুমোদন পাবে। সুপার ডাইকের উচ্চতা হবে ১০ মিটার, প্রস্থ হবে ৯মিটার। সুপার ডাইকের উপরে হবে আধুনিক সড়ক। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ধলঘাটার পশ্চিমে হাঁসেরচরের ৩২৫একর জমি সুপার ডাইকের ভিতরে চলে আসবে। কোহেলিয়া নদী ও নোনাছড়ি নদী ড্রেজিং হবে। এছাড়া সুপার ডাইকের অভ্যন্তরীণ ২০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।

এদিকে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘মাতারবাড়ী-ধলঘাটে সরকারে মেঘা প্রকল্প বাস্তবয়ান হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে বাঁচানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা বলেছেন। তা অতিশীঘ্রই বাস্তবয়ান হবে।’