১৭২ মিনিট আগের আপডেট; দিন ২:১১; শুক্রবার ; ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় হেফজখানার ছাত্র বলৎকারের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া ০২ মার্চ ২০২১, ২২:২৩

পেকুয়ায় এক হেফজখানার ছাত্রকে বলৎকারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।  গভীর রাতে কৌশলে হেফাজখানা থেকে ডেকে নিয়ে বিলে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় বখাটে। সোমবার রাতে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ওই শিশু ছাত্র পরের দিন মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে জানালে খবরটি এলাকায় চাউর হয়। ছাত্রের পিতা রবিউল আলম সহ কয়েকজন স্থানীয় কয়েকজন নিয়ে মাদ্রাসা হুজুরকে অবগত করে।

এ সময় হেফজখানা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে হেফাজখানার ভেতরে অতিগোপনে তাৎক্ষনিক বৈঠকে বসেন। তবে বৈঠকের বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে যান। লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি তারা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা জানায়, নোয়াখালী পাড়ায় একটি হেফাজখানা রয়েছে। রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়া এলাকার জনৈক রবিউল আলমের শিশু কায়েস (ছদ্মনাম) গত একবছর ধরে হেফাজখানায় পড়া লেখা করছেন।

নোয়াখালী পাড়া রিক্সাচালক নরুল আবছারের বাড়িতে তিনি খাওয়া দাওয়া করতেন। রাতে হেফাজখানায় থাকতেন। এদিকে ওই শিশুকে সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য ত্রিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেন নোয়াখালী পাড়ার বখাটে ফারুক। রাতে ওই শিশুকে কৌশলে হেফাজখানা থেকে বের করে ফুসলিয়ে বিলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বলৎকার করে ফারুক।

এ বিষয়ে হেফাজখানার মৌলভী হাফেজ হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, আমি দুরে আছি। এ বিষয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। য বলার সভাপতিকে বলুন বলে সংযোগ কেটে দেন।

অভিযুক্ত মো. ফারুক বলেন, আমি দুরে আছি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বিষয়টি আপনাদেরকে কে বলেছেন আগে তার নাম বলুন। কেউ কি আপনাদের বিচার দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে পারলে লিখে দিন। এদিকে শিশুটি নিয়ে তার পিতা রবিউল আলমও আত্মগোপনে চলে গেছে। তার বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী পাড়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়।

তারা জানায়, সকাল থেকে এ ধরনের খবর মানুষের মুখে মুখে শুনছি। নারীরাও একই কথা জানালেন। শিশুটি সকাল থেকে দেখা যাচ্ছেনা। হেফাজখানায়ও নেই। তবে গোপনে মিটমাট হয়ে গেছে।

কয়েকজন নারী পুরুষ জানায়, ফারুক একজন বখাটে ও নেশাখোর। তার চরিত্র খুব খারাপ। ফারুক উশৃঙ্খল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। ইউপি সদস্য ছরওয়ার উদ্দিন জানায়, বিষয়টি আমি স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। তবে কতটুকু সত্য জানিনা।